শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪

নাস্তিক বিরুধী অতিথ-বর্তমান আন্দলন

নাস্তিক  বিরুধী পর্যালোচনা
(মুফতী সিরাজী )

বাংলাদেশ কোন এক সময় হিন্দুত্ববাদের স্বর্গরাজ্য ছিল
ইতিহাস যাকে প্রমান করে,
আরবি, আজমি মুজাদ্দিদগণ দাওয়াতের মেহনত করে আমাদের পূর্বপূরুষদের সিরাতে মুস্তাকিমেরর
অনুগামী বানালেন।

কিন্তু সভাব পরিবর্তন হয়নি অনেকের।
ইসলাম শুধু পাঁচটি স্তম্ভের মাঝে সিমা টেনে দিয়ে 
বাদ বাকি চাল-চলন সব স্যাকুলারি, হিন্দুদের আকরিয়ে ধরেছে
এটি কয়েক প্রকারে......
নামধারী মুসলমানরা এক দিকে একত্ববাদের বিশ্বাসী,
অপর দিকে মন্দির মাজারে উৎসবে নিয়মিত শরিক হচ্ছে তারা।

তারা আবার এটাও বিশ্বাস করে  আল্লাহ তায়ালা যেমন সব কিছু
করতে  সক্ষম তদ্রূপ  মাজারওয়ালা ও প্রতিমা তার চেয়ে কম নয়।

এক দিকে কাবাতে হজ্জ্ব করছে  অপর দিকে গঙ্গাজলে
সান করে নিজেকে অলরাউন্ডার বানায়,
আল্লাহ রাজি হু, আওর   শায়তা ভি নারাজ নাহু

আজও কোন হিন্দুদের দেখেনি মসজিদে যেতে ,
দেখোছি অনেক মুসলিম মন্দিরে যেতে।

দেখেনি কোন হিন্দুকে  গোরস্থানে  যেতে দেখেছি হাজারো
হিন্দুকে মাজারে যেতে।
দেখেনি অনেক নামধারী মুসলিমদের মসজিদে যেতে,
তবে তাদের নিয়মিত দেখা হয় মাজারেতে।

মোট কথা ভেজাল মুসলেমিনরা একত্ববাদের স্বিকার করে কিন্তু
একত্ববাদের বিশ্বাসী নয়।


যে মাথা শুধু এক মাবুদের সামনে ঝুকানোর হক রয়েছে
এ আবার কি করে গারুল্লাহকে ঝুকিয়ে দেয়?

আবার অনেকে উচ্চ শিক্ষা লাভের পর ধর্মকে  অস্বিকার করতে তারা বাধ্য

মানবতার পরিচয়টা  নিজের মধ্য  এমন ভাবে  মিশে দেয়
যা তার স্রষ্টাকে অস্বিকার করে নেয়।

বিভিন্ন জরিপ করে দেখা যায়   নাস্তিকতা  হিন্দুদের সমাজে বেশি,
অপর দিকে মুসলিম জেনারেল শিক্ষিতরা এর আংশিক ,
কারণ হিন্দুত্ববাদের  কাঠামো প্রশ্নবিদ্ধ।।


নাস্তিক মুক্ত বাংলাদেশ চাই

বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

নাস্তিকরা জারজ সন্তান

রাসূল (সা.)কে অবমাননাকারীরা জারজ
সন্তান


ওলিদ বিন মুগিরা প্রিয়
নবীকে অবমাননা করেছিল।
আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন সূরা ক্বলমে আয়াত নাযিল
করে তার ৯টি দোষের বিবরণ দিয়েছেন।

সর্বশেষ দোষটি হল, তুই জারজ।
ওলিদ বিন
মুগিরা জানতে পারল।

সে সবগুলো কথা সত্য বলে স্বীকার
করে নিল কিন্তু সে যে জারজ
এটা স্বীকার করতে পারল না।
কারণ এ
বিষয়ে তার জানা ছিল না।

অতঃপর
সে চলে গেল তার মায়ের কাছে।

হাতে তলোয়ার নিয়ে মাকে গিয়ে বলল,
মুহাম্মদ কখনও মিথ্যা বলে না।
তার আল্লাহ
বলেছে, আমি নাকি জারজ সন্তান?

তুমি সঠিক উত্তর দাও, না হয় আমার তরবারির
আঘাতে তোমাকে দুভাগ করে ফেলবো।
তার মা উত্তর দিল, তোর বাবা ব্যবসার
কাজে বাহিরে গিয়েছিল।
তারপর
আমি বাড়ির চাকরের সাথে দৈহিক সম্পর্ক
করেছিলাম। সেই সন্তান হলি তুই। মুহাম্মাদ
যা বলেছে তা পুরোপুরি সত্য।

সুতরাং বুঝা গেল ইসলামবিরোধী, প্রিয়
নবীর অবমাননাকারী প্রত্যেক নাস্তিকই
একেকটা জারজ সন্তান।

তাই ইসলামের
পঞ্চম স্তম্ভ হজ নিয়ে ধৃষ্টতা প্রদর্শন ও
নবীজি (সা.) সম্পর্কে কটুক্তিকারী লতিফ
সিদ্দিকীও নিঃসন্দেহে জারজ।

কতিথ লা-মাযহাবী গায়রে মুকাল্লিদ প্রসঙ্গ, সিরাজী

লামাযহবি ভ্রান্ত আকিদা

কুকুরের ঘেউ ঘেউ সূর্যের আলো ম্লান করতে পারে না পূর্ণিমা চাঁদের স্নিগ্ধালোর সৌন্দর্যতা বুঝার ক্ষমতা কুকুরের নেই।

তাই পূর্ণিমা দেখা দিলেই সে ঘেউ ঘেউ করে চলে অবিরাম। চমৎকার নান্দনিক পরিবেশকে করে তোলে ভীতিকর।
নোংরা। অমানিশি রাতের কৃষ্ণাধার দূরিভূতকারী দিগন্ত প্রসারী, আলোবন্যাধারী দীবাকর পছন্দনীয় নয় চামচিকার। সূর্য উঠতেই তাই চোখ বন্ধ করে অভিশাপ দিয়ে যায় সূর্যের বিরুদ্ধে দেদার।

বাচ্চার কাছে ইটের টুকরোর মতই বে-দামী আর মূল্যহীন মনে হয় স্বর্ণের টুকরোকে। তাই বলে পূর্ণিমা চাঁদ, প্রদীপ্ত দীবাকর আর মহামূল্যবান স্বর্ণ যেমন মূল্যহীন ও সৌন্দর্যহীন বাতিল বস্তু বলে সাব্যস্ত হয় না, তেমনি আমাদের আকাবীর, আমাদের পিতৃতুল্য পূর্বসূরী বুযুর্গানে দ্বীন, যাদের নিরলস মেহনত, ইখলাসপূর্ণ প্রচেষ্টার বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দ্বীনে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলেআশ্রয় নেবার তৌফিক দিয়েছেন, যাদের সদাজাগ্রত মেধার পরিস্ফুটিত দ্বীনী চেতনার আলোকেপেয়েছি আল্লাহ পাওয়ার পথ।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রকৃত ব্যাখ্যা। সেই স্বর্ণপুরুষদের ইংরেজ সৃষ্ট কথিত আহলে হাদীস গোষ্ঠি সহ্য করতে না পারলেও তাদের নাম মুছবে না আমাদের হৃদয় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত। তাদের নাম শ্রদ্ধার সাথে, ভক্তির সাথে, জান্নাতের উঁচু মাকাম পাওয়ার দুআর সাথে করে যাবে মুসলমান কিয়ামত পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ। আমাদের আকাবীরদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জন্য ওরা বেছে নিয়েছে এমন এক জঘন্য পন্থা, যা খুবই স্পর্শকাতর।

যেই সকল শব্দ দুর্বোধ্য, সাধারণ মানুষের মোটা মেধার বাইরের বিষয়, সেই সকল বিষয়ের অবতারণা করে বিভ্রান্তিছড়াচ্ছে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর মত জগতবিখ্যাত বুযুর্গের বিরুদ্ধে। সন্দিহান করে তুলছে মানুষকে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রহঃএর মত সুবিদিত আল্লাহর অলী সম্পর্কে।

অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে দাওয়াত ও তাবলীগের প্রাণ পুরুষ মাওলানা ইলিয়াস রহঃ, জগতবিখ্যাত শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতবী রহঃ, কালের শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ মাওলানা রশীদ আহমাদ গঙ্গুহী রহঃ ও শায়েখ জাকারিয়া রহঃ এর মত আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের।

শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে যাদের সংগ্রাম ছিল আমরণ। মৃত্যু পর্যন্ত যেই শিরক ও বিদআতকে উপমহাদেশ থেকে বিদূরিত করতে যারা করে গেছেন ঘামঝরা মেহনত। ছড়িয়ে গেছেন আল্লাহ ও তার রাসূলের নিরেট ও খাঁটি বাণী।

সেইমহাপুরুষদের আজ ইংরেজদের জারজ সন্তান কথিত আহলে হাদীস গোষ্ঠি শিরকের দোষে দুষ্ট করছে, বিদআতেরপ্রবক্তা বলে চালাচ্ছে অপপ্রচার। যেই সকল দুর্বোধ্য বিষয় নিয়ে আমাদের আকাবীরদের বিরুদ্ধে ইংরেজ সৃষ্ট দলটি অপপ্রচার করছে তার মাঝে অন্যতম একটি বিষয় হল-“অহদাতুল ওজুদ”।

=================================

এটি তাসাউফ শাস্ত্রের একটি পরিভাষা। সাধারণ মানুষের বুঝ শক্তির বাইরে এর সঠিক মর্মার্থ।
 নির্বোধ, অশিক্ষিত, অগভীর জ্ঞানের অধিকারী কথিত আহলে হাদীস গ্রুপ এই শব্দটির মর্মার্থ উদ্ধার করতে অক্ষম হয়ে শিরক-বিদআত ধ্বংসকারী মহানব্যক্তিদের মুশরিক বানিয়ে দিয়েছে।

চালাচ্ছে অপপ্রচার নেট থেকে নিয়ে লেখনীর মাধ্যমে । তাই বাধ্য হয়ে এই বিষয়টি নিয়ে কলম ধরলাম। আশরাফ আলী থানবী রহঃ কেউ ওরা বেশি গালি দেয় এই বিষয়টি নিয়ে।
তাই আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর লিখা গ্রন্থ থেকেই অহদাতুল ওজুদ বিষয়ে তার বিশ্বাস ও আক্বিদা বিধৃত করা হল। পাঠকের হাতে ছেড়েদিলাম এর বিচারের ভার। অহদাতুল ওজুদের যে ব্যাখ্যা হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ করেছেন এর নাম যদিশিরক হয়, তাহলে আমাকে বলতে হবে একত্মবাদের বিশ্বাস কাকে বলে?
বুযুর্গানে দ্বীন ও ফক্বীহদের সমালোচনাকারী দল এই উম্মতের বর্ধিত বাতিল ফিরক্বার নাম

================================================================

♣বনী ইসরাঈলের মাঝে ছিল ৭২ ফিরক্বা।
 এর মাঝে ১টি ফিরক্বা ছিল জান্নাতী।
আর ৭১ টি ফিরক্বা ছিল জাহান্নামী।
আর এই উম্মতের মাঝে হবে ৭৩টি ফিরক্বা। এর মাঝে ১টি ফিরক্বা হবে জান্নাতী আর ৭২টি ফিরক্বা হলজাহান্নামী।

নবী কারীম সাঃ ইরশাদ করেছেন-পূর্বের উম্মত যাই করেছে এই উম্মতও তাই করবে নাফরমানীর দিক থেকে।
তথা ওরা যত পদ্ধতিতে নাফরমানী করেছে এই উম্মতও সেই পদ্ধতীতে নাফরমানী করবে।

সুতরাংআল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করার ৭১টি পদ্ধতিওয়ালা বাতিল ফিরক্বা পূর্ব উম্মত থেকে গ্রহণ করবে এই উম্মত।
তথা ৭১টি বাতিল ফিরক্বার মত ও পথ পূর্ব উম্মতের মত এই উম্মতেও থাকবে।
আর জান্নাতী ছিল পূর্ব উম্মতের ৭২ ফিরক্বার মাঝে একটি ফিরক্বা।
সেটিও এই উম্মতে পূর্ব পদ্ধতি অনুযায়ী থাকবে। শুধু বাড়বে একটি বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতে।

 যেই বাতিল ফিরক্বার কোন নজীর পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। সেই বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি কারা?
আল্লামা কুরতুবী রহঃ তার প্রণীত তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-

 . وقد قال بعض العلماء العارفين :هذه الفرقة التي زادت في فرق أمةمحمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاريالخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)

যেই ফিরক্বাটি উম্মতে মুহাম্মদীদে বাড়বে তারা হল-ওলামাদের সাথে শত্রুতা করবে, আর ফুক্বাহাদের প্রতি রাখবে বিদ্বেষ। এই গ্রপটি পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না।

{তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীর সূরাতুল আনআম}

স্বীকৃত বুযুর্গদের যারা মুশরিকবলে, যারা বেদআত ও শিরকের বিরুদ্ধে আমরণ করে গেছেন জিহাদ সে সকল জগত বিখ্যাত আলেম ও ফক্বীহদের যারা শিরক ও বিদআতের দোষে দুষ্ট করতে চায় ওরা যে,
এই উম্মতের বাতিল ফিরক্বা একথা বুঝতে নিশ্চয় কষ্ট হবার কথায় নয়।

অহদাতুল ওজুদ কি শিরক?
না চূড়ান্ত পর্যায়ের একত্মবাদের বিশ্বাস?

আর বারাবারি করে নিজেদের  মুখোশ খুলে দিয়েননা