সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৩

উন্নত যুগে এন্ড্রয়েড মোবাইলের বিস্তার লাভ muftisiraji

রুট (root) সম্পর্কিত তথ্য
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
সিরাজী
""""""""""

এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায় সবাই-ই
বোধহয় একবার হলেও রুট(ROOT) রুট শব্দটার
নাম শুনেছেন।
অনেকেই আছেন রুট
করে মহা আনন্দে এন্ড্রয়েড ফোনের
মজা নিচ্ছেন অনেকে হয়ত জানেনই না রুট
কি, এইটা খায় না মাথায় দেয়।

চেষ্টা করব
যতটা সহজ ভাষায় সম্ভব এন্ড্রয়েড
ডেভেলপমেন্টের এই গুরুত্বপূর্ণ দিক
সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার
রুট কি? :

রুট/Root শব্দটা এসেছে লিনাক্স
অপারেটিং সিস্টেমের
ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে।
লিনাক্স
ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট
প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন
আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয়।
এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্স
ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে।

এন্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট পারমিশন
মানে সিস্টেম ফাইল এডিট করার পারমিশন
আদায় করাকে রুট করা বলে।
এটাকে আপনার ফোন হ্যাক করাও
বলতে পারেন।

কেন রুট করা থাকে না? :

এখন কথা হচ্ছে নিজের ফোনের কেন
এডমিনিস্ট্রেটর পারমিশন “আদায়”
করে নিতে হবে? কেন ইচ্ছা করলেই
একটা ফাইল ডিলিট করতে পারব না?
পিসিতে তো এগুলো কিছু করতে হয় না।

ফোন ম্যানুফ্যাকচাররা আপনাকে অনেক
সুবিধা দিলেও কিছু সুবিধা/পারমিশন
তারা দেয় না।  এটা করা হয় ভালোর জন্যই।
কারণ আগে থেকে আপনাকে ফোনের
মধ্যে যা ইচ্ছা তাই করার
অনুমতি দেওয়া থাকলে দেখা যাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ
একটা ফাইল গায়েব করে দেবেন, অথচ
আপনি শুধু চেয়েছিলেন আপনার ফোন
মেমোরি বাড়াতে।

এছাড়া আপনি কাস্টমাইজ
করতে গিয়ে বা রম ইন্সটল
করতে গিয়ে ভুল করলে ফোন ব্রিক
করে ফেলতে পারেন। শেষে এ
বিষয়ে বলা হয়েছে। আর ভাইরাস/
ম্যালওয়ারের কিছু ঝামেলা হতে পারে।

কারণ রুট পারমিশন
পেলে আপনি যা ইচ্ছা তাই ইন্সটল
করতে পারেন, যার কারণে ম্যালওয়ার
ফোনে ঢুকে পড়তে পারে।

কেন রুট করবেন? :

রুট পারমিশন যদি এতটাই রিস্কি হয়
তাহলে রুট করতে যাবেন কেন? কারণ রুট
করার পর আপনি আপনার ফোনে এমন সব
কাজ করতে পারবেন যা আগে কল্পনাও
করতে পারেননি। কিরকম?

কাস্টম রমঃ

এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটাও হয়ত
শুনে থাকবেন যে অনেকে কাস্টম রম
(Custom ROM) ইন্সটল করে।  অনেকে হয়ত
কাস্টম রম ইন্সটল করা ফোন
দেখে মনে মনে ভেবেছেন আপনিও
করবেন।
 তাহলে আপনাকে রুট করতেই হবে।
কাস্টম রম ইন্সটলের প্রধান শর্ত
আপনাকে রুট করতে করতে হবে।

ROM হচ্ছে R ead O nly Memory যা আপনার
ডিভাইসটিকে চালায়। নেটে অনেক
কাস্টম রম পাবেন যা আপনার ফোনকে শুধু
দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে তাই নয় ফোনের
পারফরম্যান্সও বাড়িয়ে তুলবে। কাস্টম রম
ডেভেলপারদের মধ্যে CyanogenMod, Team
Rouge, Team EOS, ParanoidAndroid, MIUI
ইত্যাদির নাম বেশি শোনা যায়।

আপনি ইচ্ছা করলে রম ম্যানেজার
দিয়ে আপনার ফোনের সাথে কম্প্যাটিবল
রম ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

আর রম খোঁজার জন্য GooManager ও
RomManager ব্যবহার করতে পারেন।
কোন রম ভালো এবং রম
সম্পর্কে জানতেঃ

How to Find Custom Rom
for Your Android Phone

কাস্টম থিমঃ
থিম মানে আপনার ফোন
যে গ্রাফিক্সটা প্রদর্শন করছে তা পরিবর্তন
করার জন্যেও আপনাকে রুট
করা লাগতে পারে।

লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ভার্সনঃ

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফোনের
ম্যানুফ্যাকচারার ফোনের জন্য আপডেট
বন্ধ করে দেয়।
যেখানে সবাই এন্ড্রয়েড
জেলি বিন পাচ্ছে সেখানে হয়ত
আপনাকে আইস-ক্রিম স্যান্ডুইচ
নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে আপডেট বন্ধ করার যুক্তিযুক্ত
কারণ থাকলেও আপনি কেন এন্ড্রয়েডের
পুরান ভার্সন নিয়ে পড়ে থাকবেন? নতুন
ভার্সন, এমনকি অনেক সময়
অফিসিয়ালি রিলিজ হওয়ার আগেই
যদি আপনি আপনার ফোনে সেটা ইন্সটল
করতে চান, রুট করে ফেলুন। বলা যায় না,
কি লাইম পাই হয়ত অফিসিয়াল রিলিজের
আগেই ইন্সটল করতে পারবেন।

কাস্টম কার্নেলঃ

এন্ড্রয়েড ডিভাইস রম দিয়ে চললেও,
কাজগুলোর কমান্ড বা নির্দেশ দেওয়া হয়
কার্নেলের মাধ্যমে। আপনি যখন ফোনের
স্ক্রিনে টাচ করেন তখন টাচ পয়েন্টের
কো-অরডিনেট বা কোথায় টাচ করেছেন
সে তথ্য যায় কার্নেলে।
 কার্নেল তখন
সংশ্লিষ্ট এপ্লিকেশনকে টাচ
অনুযায়ী কাজ করতে বলে।

 বুঝতেই
পারছেন কার্নেল কত জরুরি।
আপগ্রেডেড
কার্নেল ব্যবহার করে আপনার ফোনের
পারফরম্যান্স বাড়ানো সম্ভব।