বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

মুসলিম নেতাদের প্রতি আল্লাম শায়খ সাজিদুর রহমান সাহেবের পরামর্শ!

মুসললিম বিশ্বের মোড়লদের নরম স্বরে ইসরায়েলের অবস্থান এখন অনড়!

Design : muftisiraji 

ফিলিস্তিনী মুসলিমদের উপর যুগযুগ ধরে চলমান নিপিড়ন মুসলিম বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
নির্যিতন, নিপীড়ন , যুদ্ধাপরাধের বিরল নজীর দিন দিন কায়েম করেই যাচ্ছে ইসরায়েল।
দখলদার ইজরায়েল শরণার্থী হিসেবে ফিলিস্তিন  এসে  শূন্যের কোটা থেকে ধনকুবের সামরিক শক্তিধর।  অগণিত আম্বীয় (আঃ) এই জমিনে শায়িত, ইসলামের অসংখ্য স্মৃতি মিশে আছে গোটা জেরুজালেম জুরে।

মুসলেমীনে রক্তের নদী খনন করে প্রতিষ্ঠিত হয় অবৈধ ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্য মসলিম জনবল শাসিত মুসলিম শাসকদের নাকের ডগায় আঙ্গুল দিয়ে ইসরায়েলের জন্ম। 
পূর্বকার আরবলীগের যুদ্ধ ইসরায়েলের ভাড়াটে শক্তিকে ফুটিয়ে তুলেছে ।
ইয়াহুদী সেনারা যাদের কাছ থেকে বিনা পয়সায় অস্ত্র, যুদ্ধের গোলাবারুদ ও যুদ্ধবিমান পেয়েছে বোকা আরব সৌখিন তাদের কাছ থেকেই গোলাবারুদ ক্রয় করে এবং নিস্ক্রিয় ভেজাল অন্ত্র নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে।
ঐ বোকামি নড়বড় ইতিহাসকে স্মরণ করে ও'আই'সি সম্মেলন করা অত্যাবশ্যক।
ইহুদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরবীদের পরাজয়ের নেপথ্য ছিল খ্রিষ্টানদে গোলামী, খ্রিষ্টানদের গোলামীর গণ্ডি থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি আরবী সৌখিন রাজাগণ।
এখনো সেই জিঞ্জির ভেঙ্গে না আসলে গোটা আরব ভূখণ্ড আক্রান্ত হবে ইসরায়েলি হামলায়।

  • তড়িৎ গতিতে মুসলিম দেশগুলো থেকে ইসরায়েলি  দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া।
  • জল,স্থল ও আকাশ পথে ইসরায়েলের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করা।
  • যতদিন ফিলিস্তিনীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করবে ততদিন পর্যন্ত জজাতিসংঘকে  বৈকঠ করে ও'আই'সির আওতাভুক্ত মুসলিম দেশগুলো চলবে।
  • ইয়াহুদী- খ্রিষ্টান মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোর সামরিক শক্তি আরও জোরদার করা।
শিয়া-সুন্নি ভ্রাতিত্ব বজায় রেখে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন ও রুশ সামরিক ঘাটিগুলো সরিয়ে না দিলে দিন দিন  চতুর্মুখী সংঘাত বৃদ্ধি পাবে।


الكفر ملة واحدا

আল্লাহ তায়ালা ইয়াহুদীদের কবল থেকে মুসলিম দেশগুলোকে হেফাজত করুক। 

সংকলক ও প্রবন্ধকার : মুফতী বোরহান উদ্দীন সিরাজী