মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬

সাম্প্রতিক নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক আন্দোলনের স্বরূপ?



বর্তমান বাংলাদেশী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠরা তথ্য সন্ত্রাসের শিকার! 

----------------


মিডিয়া যত্তসব চাটুকারিতা আর সুবিধা জড়িয়ে আছে। এজন্য সব কিছু ধুম্রাজাল মনে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক নাসির নগরে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটানাকে ভিন্ন রঙ্গভঙ্গিতে উপস্থাপন করছে মিডিয়া কর্মীগণ যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক!
"ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে হলো তা যদি মূলোৎঘাটন করি তবে সব কিছুই দিবালোকের ন্যায় পরিস্কার হয়ে যাবে,  বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
----------------
"রসরাজ দাস" নামক হিন্দু যুবকের আই'ডি থেকে মুসলমানের কিবলা 'পবিত্র ক্বাবা ঘর' যা প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন তাকে ফটোশপ করে জঘন্যতম শিবের উলঙ্গ ছবি কাবাগৃহের উপর স্থাপন করে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে একটি প্রজ্জ্বলিত দাবানলের ইন্দন দিয়েছে সেই যুবক।
এতে প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে হিংস্রাত্মক আক্রম করেছে।  বর্মানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অধিক প্রচারিত।
মূহুর্তে ছড়িয়ে পরে বিশ্বব্যাপী।  আলোচনা পর্যালোচনা ' তর্ক-বিতর্কের কুণ্ডলী হয়ে অতিসাধারণ মুসলমানের মধ্য জ্বলে উঠে ক্ষোভের আগুন, নাসিরনগরসহ আশপাশ এলাকা তখন বেসামাল অবস্থা।



----------------
ইসলামের প্রতি যাদের বিন্দু মাত্র দরদ রয়েছে তাদের জন্য এই বিতর্কিত ব্যাপারটি সত্যি মেনে নেওয়ার মত নয়।
তবে সচেতন বিবেকবান ও ইসলামের পূর্ণ জ্ঞান যাদের রয়েছে তারা এর নিবিড় প্রতিবাদ করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাবে।
কিন্ত গ্রাম্য কিষাণ-মজুর এবং পাবলিকপ্যানেল শ্রেণির মানুষ ভিন্নরকম।
সাধারণত আঘাতের প্রতিঘাত করে নগদ অসুল করেই তারা ক্ষান্ত হয়।
--------------



৩০/১০/১৬ তারিখে: মাদ্রাসার আলেমগণ আলোচিত ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাসিরনগর,মাধবপুর এলাকাসমূহে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে।
কেহই ভাংচুর করার উৎসাহ দিবে তো দূরের কথা ইঙ্গিতও দেননি।
-----------------
সার কথা... যা কিছু হয়েছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আমরা সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিশ্বাসী।
তবে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা দেশে পুনরাবৃত্তি  যাতে না হয় সে দিকে জনগণের যেমন সচেতনতা দরকার তেমনি সরকার ও প্রশাসনকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক দুষকর্মের ততক্ষণাৎ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত